চট্টগ্রামের সিইপিজেডে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস কারখানার শ্রমিকরা খাবার ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন গতকাল থেকে। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ কারখানাটির দুইটি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আজও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন এবং আরেকটি পক্ষ দাবিদাওয়া বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার পর আজ দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এসময় এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটের টুকরো নিক্ষেপের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে রোববারও (৯ ফেব্রুয়ারি) একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস এর শ্রমিকরা। এ অবস্থায় এক নোটিশে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই কারখানার দুই ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সিনিয়র ব্যবস্থাপক স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়েছে, শ্রমিক কর্তৃক কারখানায় অবৈধভাবে কাজ বন্ধ রাখা এবং অন্যায় দাবি-দাওয়া উত্থাপন করার কারণে ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ ধারা ১২(১) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ১০ ফেব্রুয়ারি হতে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সোমবার প্যাসিফিক নিট ডিভিশনের অধীন প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল কারখানার ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের অধীন এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড এর শ্রমিকরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা একে অপরের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগ করেন।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা বলছেন, মালিকপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া বিবেচনা করুক।
অন্যদিকে আরেকটি অংশ বলছে, মালিকপক্ষ গতমাসে অনেক দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে। আপত্তি থাকলে গতমাসেই মীমাংসার প্রয়োজন ছিল। প্রতিমাসে আন্দোলন করলে মালিকপক্ষ তো ক্ষুব্ধ হবেই।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা দুই-তিন দিন পর কারখানা চালু করবেন বলে জানিয়েছেন।