বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে ৮ মামলায় গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের মিরসরাই এবং জোরারগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া ৮ মামলায় জামিন আবেদন করেছিল তার আইনজীবী।
জানা গেছে, এর আগে গতকাল রাতে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। আজ সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ৮টি এবং ঢাকায় ১টিসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের তিনজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের তিন আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পিপি আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হওয়া আটটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর পৃথক আবেদন করেন তিন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তাকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়। উনার পক্ষে ডিভিশনের আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে কারাবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় মোশাররফকে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি হয়েছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক সানির আদালতে। দুটি মামলার শুনানি হয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন এবং অপর একটি মামলার শুনানি হয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুন্নিসা খানমের আদালতে।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। দশম জাতীয় সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন এবং এর আগে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন তার ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল।
