গেল সপ্তাহজুড়ে সিইপিজেডের জেএমএসসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানো এবং সাধারণ ছুটির দাবিতে আন্দোলন করছিল। বৃহস্পতি-শুক্রবার বন্ধ থাকার পর জেএমএস কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে আজ শনিবার থেকে কারখানা চালু করে। কিন্তু, অন্য কারখানাগুলো তাদের শ্রমিকদের দাবি না মানায় সকালে মেরিকো এবং মডিস্টের শ্রমিকরা সিইপিজেডের মূল গেইট বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এ সময় গেট খোলা নিয়ে মেরিকো এবং মডিস্টের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক কারখানার শ্রমিকরা অন্য কারখানার শ্রমিকদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং অনেকের হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা গেছে। এ ঘটনায় তিন কারখানার অন্তত ১৫ জনের মতো শ্রমিক আহত হন।
আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ত্রিমুখী সংঘর্ষ অন্তত এক ঘণ্টাব্যাপী চলে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, সিএমপি ও শিল্পপুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত। আহতরা বেপজা হাসপাতাল ও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলেও গেছেন।

এদিকে, কারখানাগুলো আগামী তিন দিন বন্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, আন্দোলনের সময় কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে আরেক কারখানার শ্রমিকের কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় একপক্ষ আরেকপক্ষকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। এতে অনেকেই আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মেরিকো কোম্পানির ফিনিশিং ডিপার্টমেন্টে কর্মরত আহত আলী আকরাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে লাঞ্চ, ৯ পারসেন্ট বেতন বাড়ানোসহ আট দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছিলাম। কোম্পানি আমাদের দাবি-দাওয়া মানছে। একদিনের সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করছে। এরপরে অফিসে আসলে আমাদেরকে একটায় ছুটি দিয়ে দিছে। আমরা যখন বের হইতে যাবো তখন গেইট আটকায় আমাদের উপর হামলা চালায়। কারণ, মালিকপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নিছে কিন্তু মডিস্ট আর জেএমএসের মালিকপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেয় নাই। এখন আমরা কেন তাদের সাথে আন্দোলন করছি না এ কারণে আমাদের উপর হামলা চালায় তারা।