মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুড়েছে ৫০০ ঘরবাড়ি।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী ও একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা এএফপিকে বলেছেন, বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাখাইনের রামরি দ্বীপের কিয়াউক নি মাউ শহরে সেনাবাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ধরে যাওয়া আগুনে ৫ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে।

‘‘প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর হামলায় ৪০ বেসামরিক নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন,’’ জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য এএফপিকে বলেছেন, জান্তাবাহিনীর হামলায় ৪১ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই উদ্ধারকর্মী বলেন, পরিবহন ব্যবস্থা কঠিন হওয়ায় এই মুহূর্তে আমরা তাদের চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতেও পারছি না। এছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটাডাইন ও মিথাইলেড স্পিরিটও নেই।
জান্তা বাহিনীর বোমা হামলার পর সেখানকার ছবিতে দেখা যায়, বিস্মিত বাসিন্দারা পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের মাঝে হাঁটছেন। বোমা হামলায় মাটিতে গর্ত ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ভবনের দেয়াল ধ্বংস হয়েছে।
রাখাইনে বিমান হামলার বিষয়ে মন্তব্য জানতে জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে এএফপি। টেলিফোনে কল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফরাসি এই বার্তা সংস্থা।

রামরি দ্বীপে চীনের অর্থায়নে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ভারত মহাসাগরে বেইজিংয়ের প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করবে বন্দরটি। যদিও মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্দরটির নির্মাণ স্থগিত রয়েছে।
সূত্র: এএফপি।