১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

শহরের নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে সিডিএ, নামছে অভিযানে

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম শহরের নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছেচট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। দীর্ঘদিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় শহরের অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। ফলে, খুব শীঘ্রই অভিযান নামবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পরিকল্পিত নগরী গড়তে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূত ভবন অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সিডিএ’র অথরাইজড বিভাগের সঠিক তদারকি না থাকায় নগরীতে নির্মাণ করা হচ্ছে অসংখ্যা নকশা বহির্ভূত ভবন। কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির অভাবে ভবন মালিকরা এসব নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের সুযোগ পাচ্ছেন বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, বিভিন্ন কারণে অনেকদিন উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরিকল্পিত নগরী গড়তে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূত ভবন অপসারণের বিকল্প নেই। এখন থেকে নির্মাণাধীন ভবনগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। যাতে নতুন করে কেউ অনুমোদনহীন বা নকশা বহির্ভূত ভবন তৈরি করতে না পারে।

সিডিএ’র সাবেক বোর্ড সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, এই জায়গায় যদি সিডিএ কঠোর হতে পারে তাহলে চট্টগ্রাম নগরী পরিকল্পিত হতে বাধ্য। কিন্তু দেখা যায়, সিডিএ’র পরিদর্শক যাদের ভবন নির্মাণে তদারকি করা দরকার, তারা সেভাবে তদারকি করেন না। অনেক সময় ক্ষমতাসীনদের চাপের জন্য তা পারেন না। পরিদর্শকদের ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ালে তারাও কাজে আগ্রহী হবেন।

ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী, নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর বা স্থগিত কাজ শুরুর ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করার কথা থাকলেও তা করেন না অধিকাংশ ভবন মালিক। এছাড়া, কোন কারিগরি ব্যক্তিকে নতুন নিয়োগ বা পরিবর্র্তন সম্পর্কে কিছু থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।

বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, ইমারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারিগরি ব্যক্তির গাফিলতি হিসাবে গণ্য হবে, যদি তিনি কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই নির্ধারিত ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশনের সাথে যুক্ত এমন কোন প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিবরণ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান বা গোপন করেন।

এছাড়া, যদি তিনি কাঠামো নকশা, অগ্নিনির্বাপক অথবা অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন করেন এবং এড়িয়ে যান।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন