শহরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে মহানগর ছাত্রশিবিরের নেতা হাতেনাতে ধরা পড়েছে বলে খবর চারোদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে দেখা গেল এক পুলিশ সদস্য এবং ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার। তারাই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ অপপ্রচার ছড়িয়ে দেন।
স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবিরকে দোষ দেওয়া হচ্ছে মূলত তা গত বছরের ২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় জুয়ার আসরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি রাসেল আকন ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদোয়ান।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় হওয়ায় মামলা সেই থানায় হয়েছে। পুলিশ সদস্য যিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি জামিন পেয়েছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার বলেন, ওই ঘটনায় মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। রাসেল আকন ও রেদোয়ান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আর কাউকে আটক করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শিবিরের নেতা থেকে কর্মী সবাই শতভাগ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করেন। চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সঙ্গে শিবির জড়িত নয়। মূলত শিবিরকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, প্রথমে একটি ভুঁইফোঁড় অনলাইনে এমন বানোয়াট একটি নিউজ প্রকাশিত হয়ে। আমরা সেই অনলাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি। পরে যখন দেখেছি নিউজ পোর্টালটি ভুঁইফোঁড়, এরপর আর এ বিষয়ে বিবৃতিও দেইনি।
এদিকে ২৩ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে বিভিন্ন জন লিখেছেন, ‘ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রশিবির নেতা আটক’। বিষয়টি নিয়ে রিউমার স্ক্যানারও তাদের তথ্য উত্থাপন করেছে। রিউমার স্ক্যানার বলছে, ছাত্রশিবিরের কেউ নয়, মূলত ছাত্রদল নেতা ও পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হয়েছিল।
