২৩শে মার্চ, ২০২৫

খাবারের হোটেলে গরুর মাংস না রাখলে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি মুসলিম ভোক্তা অধিকারের

শেয়ার করুন

রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় যেসব খাবার হোটেলে গরুর মাংস রাখা হবে না, তারা ভারত ও বিজেপির দালাল। দালালি ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে চলবে না। প্রত্যেকটি হোটেলে বাধ্যতামূলক গরুর মাংস রাখতে হবে। অন্যথায় বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ নামের সংগঠনের নেতারা।

এ সময় তাদের হাতে ‘গরুর গোস্ত খাওয়া ঈমানের অঙ্গ; যে হোটেলে গরুর গোস্ত নেই, সেটা হিন্দু হোটেল’ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।

গুলিস্তানে ‘নো-বীফ’ হোটেল বর্জনের দাবি নিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ৯৮ জন মুসলমান। মুসলমানরা খাবার হোটেলে গরুর মাংস খেতে চায়। কিন্তু গরুর মাংসের ব্যাপক চাহিদার পরও গুলিস্তানের হোটেল রাজধানী, নিউ রাজধানী বা হোটেল রাজ কর্তৃপক্ষ হিন্দুত্ববাদীদের কথা বলে হোটেলে গরুর মাংস রাখে না। এতে মুসলিম ভোক্তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হোটেলে গরুর মাংস না রাখা একটি জঘন্য অপরাধ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের খাদ্য অধিকার হরণ। তাই প্রত্যেকটি খাবার হোটেলে বাধ্যতামূলক গরুর মাংস রাখতে হবে। অন্যথায় এসব হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তারা আরও বলেন, ভারতে প্রতিনিয়ত গরুর মাংসের জন্য মুসলমানদের নির্মমভাবে শহীদ করা হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পরও যেসব হোটেল মালিক হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে তাদের হোটেলে গরুর মাংস রাখে না, তারা ভারতের উগ্রহিন্দুবাদীদের দালাল ও বিজেপির এজেন্ট। তারা বাংলাদেশকে ভারত বানাতে চায়। হিন্দুত্ববাদী পরিবেশ তৈরী করতে চায়।

বক্তারা বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদী খ্রিস্টানরা মুসলমানদের কথা বিবেচনা করে কখনই হোটেলে হালাল খাবার রাখে না। বাধ্য হয়ে মুসলমানরা নিজেদের জন্য পৃথক হালাল হোটেল খুলেন। হিন্দুদের যদি প্রয়োজন হয়, তারা নিজেদের জন্য হিন্দু নাম দিয়ে পৃথক হোটেল খুলুক। কিন্তু মুসলিম হোটেলে হিন্দুদের জন্য মুসলমানদের বঞ্চিত করে তারা গরুর মাংস বন্ধ রাখবে এমনটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন