১৪ই মার্চ, ২০২৫

বায়েজিদ থানার ওসির বিরুদ্ধে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর গুরুতর অভিযোগ!

শেয়ার করুন

গত ৫ আগস্টে সরকারের পটপরির্তনের পর বায়েজিদ এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজুর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল অভিযুক্ত বোরহান, সালামত উল্লাহ, টিপু, মঞ্জু ও রুবেল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় গত ১৪ ডিসেম্বর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। প্রথমে অক্সিজেন এলাকার একটি পাহাড়ে, এরপর আতুরার ডিপো এলাকার একটি পরিত্যক্ত গুদামে অমানুষিক নির্যাতন করে। পরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা পরিশোধের শর্তে চোখে বেঁধে রাতের আঁধারে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী রাজু হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরেরদিন ১৫ ডিসেম্বর রাতে অপহরণের সঙ্গে জড়িদের নাম উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা রজু করেন। কিন্তু, ভুক্তভোগী যাদের নাম উল্লেখ করতে বলেছেন তাদের মধ্যে বোরহান ও রুবেলকে রেখে মনগড়া আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজু। এ সময় লিখিত বক্তব্য রাখেন তার ভাতিজা সাজ্জাদ।

ভুক্তভোগী রাজুর অভিযোগ, বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ও সেকেন্ড অফিসার নুরুল ইসলাম এবং বায়েজিদ থানাধীন বটতল বিট ইনচার্জ এসআই মনির সুকৌশলে মূল আসামির বাদ দিয়ে মনগড়া ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা নেন। অথচ তাদের যুক্ত করা সেই ছয়জনকে আমি চিনিও না।

এ সময় ভুক্তভোগী রাজু আরও বলেন, ওসি আমাকে ফোন করে বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে বোরহান এবং সালামত উল্লাহসহ অন্যান্যদের নাম না বলতে নিষেধ করেছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, রাজুর অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি নিজেই থানায় এসে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছি।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন