ভাগ্য বদলাতে পরিবার পরিজন ছেড়ে দুবাই যান ফটিকছড়ির বাসিন্দা নেছার আহমদে তোতা। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ফেরত আসেন। পরিবার নিয়ে চলার মতো হাতে তেমন টাকা ছিল না। ধার নেয়ার সূত্রে একই এলাকার এজাহার মিয়ার কাছে ৫ হাজার টাকা পেতেন তোতা। দেশে ফিরে এসে ৫ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে এজাহার মিয়াকে একাধিকবার চাপ দিলেও অস্বীকতি জানান। একই এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছিরের সঙ্গে আগে থেকে শুত্রুতা ছিল তোতার। ল্যাডা নাছির এজাহার মিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে আশ^স্ত করে বিশ^াস অর্জন করেন। পরে তোতাকে কৌশলে রাঙামাটিয়া এলাকার একটি পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
পরে নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ফটিকছড়ি থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ প্রতিবেদন এবং মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ২০২১ সালের ৮ মার্চ মামলার ৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
অবশেষে হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জংগুকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। জংগু (৪০), একই থানার শাহনগর এলাকার খায়ের আহমদের ছেলে।

র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এআরএম মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জংগু রাঙ্গুনিয়া থানার রানীরহাট অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পৌনে আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রবাস ফেরত নেছার আহমেদ তোতাকে হত্যা করে এবং মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।