২৮শে মার্চ, ২০২৫

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম, নয়তো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী অ্যধাপক ড. অনুপম সেন, উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ। এবার সেসব শূন্য পদ পূরণে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবিত তালিক থেকে শূন্য পদগুলো পূরণের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। না হয় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি করা হয়।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি ক্যাম্পাসে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ছাড়াও চলতে পারে, কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এখানে বেতন-ভাতাসহ সব কর্মকাণ্ডে ভিসি-ট্রেজারারের স্বাক্ষর দরকার পড়ে। আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ে চারটা ক্যাম্পাস আছে। এখানে কয়েক হাজার মানুষের সংশ্লিষ্টতা আছে। ভিসি/ট্রেজারারের অভাবে যদি এই বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। যদি আগের ট্রাস্টি বোর্ডের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়ুয়া বলেন, আমাদের একটা প্রতিনিধি টিম ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জুলাই স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আমাদের ভিসি, প্রো-ভিসি বা ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় ১২ দিনেও এ সংক্রান্ত কোনো আপডেট পাইনি আমরা। যেহেতু উনারা উনাদের প্যানেল থেকে ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ দিতে পারে নাই; এ কারণে আমরা ধরে নিবো তারা হয় ব্যর্থ না হয় দিতে চাইছে না, নতুবা আরও বিলম্বিত করবে। তাই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের একটা লিস্ট পুনরায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।

এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, আজ বা কাল আমাদের প্রতিনিধি দল ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের লিস্ট নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়া হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমাদেরকে এ বিষয়ের একটা অগ্রগতি জানাতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ থেকে ৭ হাজার পরিবার জড়িত। এখানে তাদের বেতন ভাতার একটা বিষয় রয়েছে। আমরা কোনোভাবে আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারী বা শিক্ষকদের পেটে আঘাত করতে পারি না। আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবহেলিত।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন