ছাত্র-জনতার অবস্থা বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মন্ত্রী। পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে হেভিওয়েট উপদেষ্টা-মন্ত্রীরাও। এমন বাস্তবতায় আত্মগোপনে চলে যান অনেকেই।
তাদেরই একজন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে জারি করে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
শেখ হাসিনা সরকারের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন, এ নিয়ে জল্পনা কল্পনাও কম হয়নি।
এতদিন পর অবশেষে জানা গেল, দেশেই ছিলেন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যম এমনটাই জানাচ্ছে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান ওবায়দুল কাদের। কিন্তু, হাসিনা সরকারের পতনের পর ৯৫ দিন কোথায় ছিলেন, এ প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই ৯৫ দিন তিনি দেশের একটি বিশেষ স্থানে আদর যত্নে ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে পালানোর ক্ষেত্রে তিনি সড়কপথ ব্যবহার করেছেন। বিশেষ ব্যবস্থায় তিনি ভারতের মেঘালয়ের শিলং হয়ে পরে কলকাতায় পৌঁছান।
জানা গেছে, নিরাপদে দেশ থেকে পালানোর ক্ষেত্রে তার হয়ে ভারতের অন্য কেউ যোগাযোগ করেছে। সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই তিনি দেশ ছেড়ে পালান।
আরও জানা গেছে, দেশ ছাড়ার আগে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু, শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোনো সবুজ সংকেত পাননি।
এদিকে, ওবায়দুল কাদের কিভাবে পালালেন, তা জানতে চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমরা যদি জানতাম তাহলে আগেই ধরে ফেলতাম। যারা বলছেন তিনি ৯৫ দিন দেশেই ছিলেন, তারা যদি আগেই এই তথ্য দিত তাহলে তাকে ধরতে পারতাম।