সন্দ্বীপকে ৫৪তম নদীবন্দর ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব ছন্দা পাল পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
নদীবন্দর ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সন্দ্বীপ দ্বীপের চতুপার্শ্বের তীরের সাধারণ ভরাকটালের সময় সর্বোচ্চ পানি সমতল হতে ভূ-ভাগের দিকে ৫০ (পঞ্চাশ) মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এতে উল্লেখিত সীমানা হলো- চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার সন্দ্বীপ চ্যানেলে ২২°২৪′১৮ দশমিক ৪৫৭৪″ এন অক্ষাংশ এবং ৯১°২৬১২৪ দশমিক ৫৬৩১″ই দ্রাঘিমাংশ এবং ২২°৩৪´১৪ দশমিক ৫২৯৪″ এন অক্ষাংশ, ৯১°২৩´২৯ দশমিক ০১২২″ ই দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত পশ্চিম সীমানা, কুমিরা চ্যানেলে ২২°২৮৭৩১ দশমিক ৪১৯৬″এন অক্ষাংশ, ৯১°৩৭′৪১ দশমিক ৬১২২৭ ই দ্রাঘিমাংশ এবং ২২°৩৫৭৫০ দশমিক ১২৬৬″ এন অক্ষাংশ, ৯১°৩২´৫৯ দশমিক ০৬৩″ ই দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত পূর্ব সীমানা, কুমিরা চ্যানেলে ২২°৩৯ ০৬ দশমিক ১২৫৪″ এন অক্ষাংশ, ৯১°২৫´১৪ দশমিক ৫১৭৪″ ই দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত উত্তর সীমানা এবং সন্দ্বীপ ২২°১৯ ৩৩ দশমিক ৭২৫৬″ এন অক্ষাংশ, ৯১°৩৪৭০২ দশমিক ১৮৯৮“ ই দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত দক্ষিণ সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সন্দ্বীপ উপকূলীয় নদীবন্দরের সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মোট ৫৪টি নদীবন্দরের মধ্যে ৪টি বড় নদীবন্দর হচ্ছে ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশাল। এছাড়া দেশের কন্টেইনার টার্মিনাল নদীবন্দর হচ্ছে ঢাকার পানগাঁও।