চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
গ্রেফতার চন্দন দাস কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।

এ প্রসঙ্গে এডিসি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, এদিন দুপুরের পর চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ভৈরব পৌঁছায় চন্দন। আমরা তাকে ভৈরব স্টেশনে ঘোরাঘুরি অবস্থায় পাই।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ১৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলা করেন আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন। গত ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত ৯ আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছিলেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানা এলাকার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য।
গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে চন্দন দাসকে বলতে শোনা যায়, এক বোতল মদের বিনিময়ে আলিফকে হত্যা করেন তিনি। তবে, কার নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান সেটা বলেননি।
