ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্যুতে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং মামলায় আসামি করা হয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
ঘটনার সাত দিনের মাথায় মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনের বিরুদ্ধে হামলায় আহত করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক জহুর লাল হাজারী, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, নগর যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সুহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন কান্তি নাথ, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত আহমেদ, কাজী তানভীর প্রমুখ। মামলার বাকি আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৬ নভেম্বর একটি মামলা নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তিনি চট্টগ্রাম আদালতে আসেন। কাজ শেষে করে বাসায় ফেরার পথে আদালত ভবনের মূল ফটকে রঙ্গম কনভেনশন সেন্টারের সামনে দেখেন আসামিরা সশস্ত্র অবস্থান করছেন। একপর্যায়ে তারা বাদীকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করতে থাকেন। একজন আসামি লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে হাত দেওয়ায় তা পিঠে লাগে। এতে পিঠ থেঁতলে যায়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে বাদী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ কারণে মামলা করতে দেরি হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিম্ময় অনুসারীরা আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে প্রিজনভ্যান আটকে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশি অ্যাকশনের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।