চট্টগ্রামের লেলের টেন্ডারবাজি নিয়ে উত্তেজনা দিনদিন বাড়ছে। টেন্ডার জমার শেষ দিনে সিআরবিতে দলবল নিয়ে হাজির হয় একাধিক গ্রুপ। চলে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এবং একে অপরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। এ সময় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও র্যাবকে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে তিস্তা ও কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের অনবোর্ড সার্ভিসের জন্য দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দলবল নিয়ে হাজির হন ঠিকাদাররা।
জানা গেছে, দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বেলা ১২টা পর্যন্ত। এরপরও নির্ধারিত সময়ের পর উপস্থিত হন কয়েকজন।

এক ঠিকাদারের দাবি, দরপত্র জমা দিতে সিআরবিতে আসার সময় তাকে উঠে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসিয়ে রেখেছিলেন আরেক ঠিকাদারের লোকজন। সময় শেষ হলে ছেলে দেওয়া হয়।
পাল্টা অভিযোগ করেন অনেকে। তাদের দাবি, আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রেলের ঠিকাদারের কাজ একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করা অনেকে এখনও সক্রিয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেল কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, গত ১৬ বছর রেলের ঠিকাদারির কাজ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের দখলে ছিল। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অনেকবার সংঘাত, সংঘর্ষ ও প্রাণহানিও ঘটেছে। পট পরিবর্তনের পর আধিপত্য বিস্তারে সক্রিয় হচ্ছে একাধিক গ্রুপ।
তবে টেন্ডারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, বাইরে কি হয়েছিল জানি না, তবে আমাদের অফিসে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দরপত্র জমা দিয়েছেন ঠিকাদাররা।
এআই