১৪ই মার্চ, ২০২৫

এস আলমকে ‘সুবিধা’ দিয়ে চাকরি যাচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের চট্টগ্রামের ২৩ শাখার ম্যানেজারের

শেয়ার করুন

বিভিন্ন সময় এস আলমকে বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে চাকরি হারাতে যাচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের ২৩ শাখার ম্যানেজার। একইসঙ্গে আগামী ২১ দিনের মধ্যে দায় পরিশোধের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এ খবর আগেই পেয়ে নিজের অপকর্মের দায় স্বীকার করে খুলশী শাখার ম্যানেজারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন খুরশিদ আলম। এই খুরশিদ আলম এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিনের ভাই।

সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল শাখায় বিশেষ পরিদর্শন শেষে অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে এ প্রত্যাহার আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রত্যাহার আদেশে চট্টগ্রামের ২৩ শাখাসহ মোট ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। ২১ দিন পর তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

চট্টগ্রামের ২৩ শাখার কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন- আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, আন্দরকিল্লা শাখার ম্যানেজার মোর্শেদুল আলম, খাতুনগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মো. মোস্তফা, জুবলি রোড শাখার ম্যানেজার মো. আনোয়ারুল আলম, বন্দরটিলা শাখার ম্যানেজার মো. সাইফুদ্দিন, চকবাজার শাখার ম্যানেজার আবু হাসান মোস্তফা কামাল, কদমতলী শাখার ম্যানেজার এস এম কফিল উদ্দীন, পাঁচলাইশ শাখার ম্যানেজার মো. মাহাবুল আলম, প্রবর্তক মোড় শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ উল্লাহ, কুমিরা শাখা ম্যানেজার মো. ফজলুল হক, পাহাড়তলী শাখার ম্যানেজার সুলতানা নাজনীন চৌধুরী, সদরঘাট শাখার ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. হেলাল উদ্দীন, বহদ্দারহাট শাখার ম্যানেজার মো. উসমান, পটিয়া শাখার ম্যানেজার মো. বশির উল্ল্যাহ, পটিয়া মহিলা শাখার ম্যানেজার ফারাহ দিবা বানু, দোভাষী বাজার শাখার ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফতেয়াবাদ শাখার ম্যানেজার মো. কামাল হোসেন, হালিশহর শাখার ম্যানেজার এস এম মোনসেফ আহমেদ, হাটহাজারী শাখার ম্যানেজার মো. আব্দুল মাবুদ, রাহাত্তারপুল শাখার ম্যানেজার মো. হারুনার রশিদ, চন্দনাইশ শাখার ম্যানেজার মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, মোহরা শাখার ম্যানেজার আরাফত উল্লাহ এবং বোয়ালখালী শাখার ম্যানেজার সেলিম উদ্দীন।

জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখা থেকে এ সকল কর্মকর্তারা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিনিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি নিজেরা ও আত্মীয় স্বজনকে দিয়ে এস আলম থেকে নানান ধরনের সুবিধা নিয়েছে। এছাড়া ডকুমেন্টেশন জালিয়াতিসহ নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ পাচারের সঙ্গে তারা জড়িত।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন