চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকতে থাকতে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে গেছে ৭৭ টন আদা ও কমলা। এর মধ্যে ৫৩ টন ৪৯০ কেজি আদা ও ২৩ টন ৪৬২ কেজি কমলা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, নানান কারণে আমদানি কারকরা এসব পণ্য খালাস না করায় দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল। ফলে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তা নিলাম অযোগ্য হয়ে ওঠে। তাই যথাযথ উপায়ে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) নগরের হালিশহরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে চারটি কনটেইনারে থাকা এসব পণ্য ধ্বংস করা শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজকেও সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থাকা ২১টি নিলাম অযোগ্য কনটেইনারের বিভিন্ন পণ্য ধ্বংসের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ধ্বংস বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আজ ধ্বংস বিষয়ক কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নামার পর দেশে পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা, মামলা, মিথ্যা ঘোষণায় চালান আটক, কোম্পানি দেউলিয়া হওয়াসহ নানা কারণে খালাস নেন না অনেকে। নির্দিষ্ট সময় পর বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব কনটেইনারের তালিকা কাস্টম হাউসকে দিয়ে থাকে নিলাম বা ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু জনবল সংকট, নিলাম প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, নানা জটিলতার কারণে নিলাম ও ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনায় দেরি হয়। এতে এক দিকে ডলারে আমদানি করা এসব পণ্যের গুণগতমান নষ্ট, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টগুলোর কনটেইনার বছরের পর বছর আটকে থাকে। বন্দর ও কাস্টম ফি, শুল্ক হারায়।