ঢাকা মেডিকেলে আরও এক ভুয়া নারী চিকিৎসক ধরা খেয়েছেন। আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নাক কা ও গলা বিভাগ থেকে তাকে আটক করে মেডিকেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার পিসি মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, সকালের দিকে পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী জানায়, তার নামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বহিরাগত আরেক নারী চিকিৎসকের এপ্রোন পরে ঘোরাফেরা করছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে আনসার সদস্যরা ওই ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের ডেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে দেখান। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলের কোনো চিকিৎসক তাকে চেনেন না বলে জানান তারা। পরে হাসপাতালের পরিচালক ও উপপরিচালকের পরামর্শ মতে অভিযুক্ত ওই ভুয়া নারী চিকিৎসককে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুকের কাছে সোপর্দ করা হয় ।
অভিযুক্ত পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা জানান, তিনি তার পূর্ব পরিচিত এক রোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করাতে এসেছেন।

চিকিৎসকের এপ্রোনটি কেন পড়েছেন এবং কোথায় পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি একটি ভুল করেছি ভবিষ্যতে আর এ কাজ করব না। এপ্রোনটি একটি টেইলার্সের দোকান থেকে বানিয়েছি। আমার ভুল হয়েছে আমি জীবনে আর এ ধরনের অপরাধ করব না।
জানা গেছে, পাপিয়া নরসিংদীর মনোহরদী সদরের আরওয়াদিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে বকশিবাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালে পরিদর্শক ফারুক বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে মুনিয়া রোজা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।