২৮শে মার্চ, ২০২৫

‘ছাত্রলীগ কর্মী’ পরিচয়ে থাকত সোহরাওয়ার্দী হলে, গণপিটুনির পর নিজেদের কর্মী দাবি চবি ছাত্রদলের

ছবি : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নুরুল করিম সাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে ‘ছাত্রলীগ’ সন্দেহে গণপিটুনি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই শিক্ষার্থীকে নিজেদের কর্মী হিসেবে দাবি করে পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রদল। যদিও আওয়ামী লীগের আমলে ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়ে থাকত সোহরাওয়ার্দী হলে। এছাড়া, চবি ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। নুরুল করিম সাদ ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে রাত ১১টার দিকে মূল ফটক আটকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুলল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিনসহ একদল শিক্ষার্থীকে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে থেকে মুখ বেঁধে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।
আরও জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নুরুল করিম সাদ চবি ছাত্ররীগের উপ-গ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আগে রাজনৈতিক পরিচয়ে চবির সোহরাওয়ার্দী হলে থাকলেও বর্তমানে তিনি শহীদ আব্দুর রব হলে বৈধ আসন নিয়ে থাকেন। এদিকে ছাত্রদল সাদ’কে তাদের কর্মী বলে দাবি করলেও শিক্ষার্থী হিসেবেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান দলটির নেতারা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের কর্মীরা। এসময় চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিনসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা প্রক্টরিয়াল বডিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে বললে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ফটক খোলেন।

চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, সাদ ছাত্রদলের কর্মী হলেও তার বড় পরিচয় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিয়ে মারধর করাটা অন্যায়। সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিলো। সেটার প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। সিসি ক্যামেরা দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি আমরা।
চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমরা রাত ২টা পর্যন্ত আহত শিক্ষার্থীর সাথে ছিলাম। চিকিৎসা শেষে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছি। সে বাড়ি চলে গেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

চবি মেডিক্যালে দায়িত্বরত চিকিৎসক কে এম আতাউল গনি বলেন, ওই ছাত্রকে রাত ১০টার দিকে আনা হয়েছিলো। ডান পায়ে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মাথা বা বুকে কোনো আঘাত ছিলো না, তিনি নিজেই বলেছিলেন। পায়ের এক্স-রে করার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন