১৪ই মার্চ, ২০২৫

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ঢাকায় গ্রেফতার

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার সময় রাজধানীর বসুন্ধরার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ডিবি।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের অনেকের দেশ ছাড়ার খবরও পাওয়া যায়। সরকার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। সবশেষ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার হলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এগুলোর একটিও জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে সংশ্লিষ্ট মামলা নয়। সবগুলো পুরনো ঘটনার জেরে দায়ের করা মামলা।

সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য ইশরাক হোসেন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার পথে মিরসরাই পৌর সদরে পৌঁছালে রাম দা, দেশিবিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এবং ককটেল বোমা ফাটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে এবং নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত জখম করে।

দ্বিতীয় মামলাটি খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলা। ৭ বছর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মামলাটি দায়ের করেন রইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার সময় মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর এলাকার খান সিটি সেন্টার ও রোজিনা হোটেলের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সর্বপ্রথম গত ৭ অক্টোবর জোরারগঞ্জ থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ জিপসন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ১১ এপ্রিল বারইয়ারহাট বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে খান সিটি সেন্টার পশ্চিম পাশের কাঁচা রাস্তার উপর মাসুদের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে বিকাল ৩টা মীরসরাই সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ও বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে এলোপাতারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। নিরাপত্তাহীনতার কারনে থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হয়।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তাকে হুইলচেয়ার ছাড়াই হাত ধরে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তার স্ত্রীর বারবার অনুরোধের পরও তারা যথাযথ ওষুধ সংগ্রহ ও তাকে ওষুধ দেওয়ার নির্দেশনা ছাড়াই নিয়ে যায়। ফলে, পরিবার তার অবনতিশীল স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন