১৯শে মার্চ, ২০২৫

শেখ হাসিনাকে ‘খলনায়িকা’ এবং যুবলীগ ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি করেছেন মামুনুল হক

শেয়ার করুন

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ছাত্রলীগের চেয়ে অনেক বেশি সন্ত্রাস করেছে যুবলীগ। তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সন্ত্রাস করেছে আওয়ামী লীগ। যে কারণে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, সেই কারণে যুবলীগ নিষিদ্ধ হতে হবে, হাঁতুড়ী লীগ নিষিদ্ধ হতে হবে, হেলমেট লীগ নিষিদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবার কোনো অধিকার নাই।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে দলটির গণসমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনাকে গণহত্যার খলনায়িকা আখ্যা দিয়ে তার সহযোগীদের বিচার দাবি করে মামুনুল হক বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনেক গণহত্যা ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা। অন্তবর্তী সরকারকে বলতে চাই- এই খুনি হাসিনাকে ধরে এনে আইনের হাতে সোর্পদ করতে হবে। তার বিচার করতে হবে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে জনতাকে হত্যার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৭২ এর চেতনা ৭১ এর নামে দীর্ঘ বছর ধরে মার্কেটিং করা হয়েছে জানিয়ে খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ৭২ এর সংবিধানের চেতনার উপর নির্ভর করে রাজনীতি করেছেন। শুধু শেখ হাসিনা নয় তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও ৭১ এর চেতনা, স্বাধিকার আন্দোলনের চেতনাকে দুপায়ে করেছেন, এদেশের মানুষের ভোটাধিকারকে বুটের চাপায় পিষ্ট করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। ৭৫ থেকে শুরু হলো শেখ হাসিনার প্রতিশোধের রাজনীতি। ৭৫’র ১৫ আগস্ট থেকে ২৪’র ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতিকে পর্যবেক্ষণ করলে খুঁজে পাওয়া যাবে তার রাজনীতির মূলনীতি ছিল দুটি। দুটি দর্শনের উপর ভিত্তি করে চলেছে তার রাজনীতি। প্রথম দর্শন ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। দ্বিতীয় দর্শন ছিল বিভাজনের রাজনীতি। তিনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে, তিনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিলেন জাতির কাছ থেকে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার উদ্যেগে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আল্লামা আলী উসমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন