১৪ই মার্চ, ২০২৫

চান্দগাঁওয়ের ২ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ-সারোয়ার গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত

নিহত আফতাব উদ্দিন তাহসীন

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান ও সারোয়ার প্রকাশ বাবলা গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আফতাব উদ্দিন তাহসীন (২৭) নামের এক যুবক নিহত হন। পরে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশ থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাহসীন চান্দগাঁও থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীরপুল এলাকার দিলা মিস্ত্রি বাড়ির মো. মুসার ছেলে।

সূত্রে জানা গেছে, তাহসীন সন্ত্রাসী সারোয়ার গ্রুপের সমর্থক। সে ওমরগণি এম ই এস কলেজের ছাত্র। কলেজ রাজনীতিতে সে আওয়ামী লীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তবে, শিবিরকর্মী সারোয়ার স্থানীয় প্রভাব বজায় রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ছাত্রলীগকর্মীদের সাথেও সখ্যতা গড়ে তোলেন। সেই সুবাদে তাহসীন সারোয়ারের সাথেই চলাফেরা করতেন।

পুলিশ বলছে, তাহসীন ওই এলাকায় ইট, বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। তার এই ব্যবসায় সহযোগী ছিলেন সারোয়ার।

কে এই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও সারোয়ার :

সাজ্জাদের পুরো নাম সাজ্জাদ আলী খান। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং আলোচিত এইট মার্ডার মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। আর তার সহযোগী হিসেবে দলের হাল ধরেন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। সবশেষ ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

অন্যদিকে, সারোয়ারকে বাবলা নামেও চেনে সবাই। এক সময় সাজ্জাদ আলী খানের হয়ে কাজ করত। সে বায়েজিদ বোস্তামী থানার খোন্দকারপাড়ার কালা মুন্সির বাড়ির আব্দুল কাদেরের ছেলে। সারোয়ারের বিরুদ্ধে নগরের ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। সবগুলোতে জামিনে রয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন