১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেদিন আমরা তাদের নিষিদ্ধ করেছিলাম। আজকে কী কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সবাইকে ব্যবহার করেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ এসব কথা বলেন।
অলি আহমেদ বলেন, আমরা পুরো জাতি জুলাই-আগস্টে একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গেলাম। এই যুদ্ধটা কার বিরুদ্ধে হলো, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা কেন হলো? তারা অন্যায়ভাবে পুলিশকে ব্যবহার করেছে, প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, দেশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আমাদের বহু ছেলে-মেয়ে হতাহত হয়েছে। দেড় হাজারের উপরে আমাদের ছেলে-মেয়ে মারা গেছে। অনেকে বলে আরও বেশি হবে, যার কোনো হিসাব নেই। অনেক লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে অলি আহমেদ বলেন, ঘরটা আগে বানাই। নির্বাচন করে করবেন কী, যদি সব চোর থেকে যায়। সংস্কারের পর নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে বলেছি। যা যা করতে হয় কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টায় এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার।