দেশেই আছেন আলোচিত এসবি প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। এমন দাবি করে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, জঙ্গিদের ভয়ে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
তবে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় নিতে নারাজ তিনি। এ সময় মনিরুল বলেন, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবেন।
ছাত্র জনতার গণঅভু্যত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আড়ালে তিনি। যদিও এর যথেষ্ঠ কারণ আছে। পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত। এরই মধ্যে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের একাধিক মামলায় আসামিও হয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ নিরবতা ভেঙে হঠাৎ সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই সূত্র ধরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর যোগাযোগ করে তাঁর সঙ্গে।
এর আগে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আন্দোলন দমাতে ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে আসেন এসবি অফিসে। যা পরে লুট করে নেয় তারই বিশ্বস্ত কয়েকজন। তবে তা অস্বীকার করে মনিরুল বলেন, এর কোনো ভিত্তি নেই। আমি এক টাকাও আনিনি। তিনি (শেখ হাসিনা) এক টাকাও এসবিকে দেয়নি। তাছাড়া এসবিকে কেন দেবে? দিলে ডিএমপি, র্যাবকে দেবে, যারা সরাসরি যুদ্ধ করতেছে। এসবি তো অপারেশনাল ইউনিট না, তাহলে এসবিকেই কেন টাকা দেবে?
৫ আগস্টের পর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় মনিরুল ইসলামকে। এরপর থেকেই আছেন আত্মগোপনে। তাহলে কি অন্যদের মতো পালিয়েছেন তিনিও? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না না, পালাতে যাবো কেন? আমাকে তো খুঁজেও নাই। আমি নিজের নিরাপত্তার জন্য একটু সেইভে আছি। আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে আমি বাসায় থাকবো।
ছাত্র আন্দোলন শক্তি দিয়ে দমানো যাবে না, এসবি থেকে সরকারকে এমন অনেক রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, দাবি করেন পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমি প্রত্যেকটা রিপোর্টে উল্লেখ করেছি, শক্তি প্রয়োগ করে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমার রিপোর্টসগুলো দেখুন, সেগুলো মিনিস্ট্রিতে আছে, পুলিশ হেডকোয়াটার্সে আছে।
এ সময় সামনের পরিস্থিতি আইনিভাবে মোকাবেলার করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে বললেই আমি আত্মসমর্পণ করুক। তদন্ত করে দেখুক, আমার পেশাদারিত্বে কোনো সমস্যা আছে কিনা।

পুলিশের প্রতি মানুষের ঘৃণা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক।