১৪ই মার্চ, ২০২৫

ইউনূসের বিচার চেয়েছিল ইউএসটিসির নতুন উপাচার্য, নিয়োগ বাতিল চেয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ দফা

শেয়ার করুন

গত বছর বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। তখন ওই ঘটনায় উল্টো প্রতিবাদ জানান দেশের ২০১ জন কৃষিবিদ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারের দাবি তোলেন। সেই ২০১ জন কৃষিবিদের তালিকা ছিলেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশও।

গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ড. গৌতম বুদ্ধ দাশকে ৪ বছরের জন্য ইউএসটিসির ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৮ বছর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ছিলেন। এ সময়কালে তার বিরুদ্ধে নানান দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন সিভাসু শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান ও ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ আহমাদ আল-নাহিদ।

এদিকে, আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে ভিসির পদত্যাগসহ চারটি দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের চারদফা দাবিগুলো হচ্ছে—অতিস্বত্তর নবনিযুক্ত উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়ার পদত্যাগ, সকল ডিপার্টমেন্টভিত্তিক দাবি যত দ্রুত সম্ভব মেনে নেওয়া এবং ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ ওয়েভার প্রদান।

বিক্ষোভকারী এক ছাত্র জানান, যখন উপাচার্যের নামটা আমরা জেনেছি, ওনার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে সবাই ইতিমধ্যে জানে। তাহলে সব জানা সত্ত্বেও ইউএসটিসির মত একটা প্রতিষ্ঠান তাকে আশ্রয় কিভাবে দেবে? যেহেতু উনি অপকর্মের সাথে জড়িত তাই আমরা তার দ্রুত পদত্যাগের দাবি করছি।

প্রসঙ্গত, সূত্রে জানা গেছে, ড. গৌতম ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল টানা ৮ বছর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ভিসি ছিলেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও তার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অত্যন্ত অনুগত ছিলেন তিনি। এছাড়া আরেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এলাকার হওয়ায় তারও আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন ড. গৌতম। ভিসি থাকাকালে গৌতমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দুর্নীতির টাকায় তার বিরুদ্ধে পদ-পদবি টিকিয়ে রাখা এবং নানা পুরস্কার কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন