সাবেক সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ, কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজ এর ৪ শিক্ষক-শিক্ষিকাএবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। এতে বলা হয়, হুকুম দাতার নির্দেশে বেআইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ ঘটানো হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় মামলাটি করা হয়, যার মামলা নং-১২/৩৬৮। কোতয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই বাবুল কুমার পাল।
মামলার বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর (৬৬) কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজের সাবেক ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ও আইনজীবি বলে জানান। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগষ্ট দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মিলনায়তনে আলাপ শেষে কোতোয়ালী থানার পশ্চিমে জনতার সমাবেশে বাদি যোগ দিলে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। বাদির বাম পা রক্তাক্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বাদির অভিযোগ জনতার ফাঁকে গুলি করে তাঁকে মেরে ফেলতে পরস্পর যোগসাজেসে হামলা করেন।

মামলার এজাহারে দুয়েক জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তারা সে সব জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিতে ধোঁয়াশা কাটছে না। এমনকি বাকিদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কোনো ধরনের অভিযোগের উল্লেখ নেই। এমনকি কে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাও স্পষ্ট করা হয়নি। আবেদনে পেনাল কোডের ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৫০৬/১১৪ ধারায় আর্জি হয়।