একের পর এক মামলায় জড়াচ্ছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রামে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চসিকের সাবেক কমিশনার আব্দুস সবুর লিটন ও নাজমুল হক ডিউকসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মনছুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় অভিযুক্তদের নির্দেশে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং তার ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমন করতে সরকারের পক্ষ থেকে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল, যার ফলে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

ভুক্তভোগী সিএনজিচালক মো. আনোয়ার হোসেন রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিএমপির ডবলমুরিং মডেল থানায় নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার সকালে মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।