স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একইসঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে।
‘বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষভাবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের নাগরিকরা এ বিষয়ে সজাগ আছেন। বিএনপি ইতোমধ্যে সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এ ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়বে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সব নাগরিকদের। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
