নিরাপওার কারণে ৪ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাণিজ্য।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঐদিনই দুদেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে দুদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। গত বুধবার বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন ও উভয় দেশের বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চয়তা দিলে অচলাবস্থার নিরসন হয়।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চন্দ্র জানান, ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির কারণে ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে বিএসএফ। বাংলাদেশের সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গত মঙ্গলবার বিকেলে বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শন করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক।
বেনাপোল বন্দর দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ১১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো ফল, পেঁয়াজ, কফি, চা, মসলা, চিনি, পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, রাসায়নিক দ্রব্য, তুলা, লোহা, মেশিনারিজ, টায়ার, শিল্পকলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের কাঁচামাল, ইস্পাত, যানবাহন। বিপরীতে, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে রেডিমেড গার্মেন্টস, যেমন জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার, পাট, পাটজাত পণ্য, লুঙ্গি, গামছা, মাছ, টুপি ও টেক্সটাইল পণ্য।