৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ, আটক ৬

শেয়ার করুন

কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে অন্তত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক রোববার ভিডিও বার্তায় চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

জোর করে সেই বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সোমবার বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচির বিষয়ে সকাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও চালানো হয়।

কর্মসূচি ঘোষণার পর সকাল থেকে নগরজুড়ে ছিল কড়া পুলিশী নিরাপত্তা। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় তল্লাশী চৌকি।

দুপুরের পর থেকে জামালখান এলাকায় জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরে যেতে অনুরোধ করতে থাকে পুলিশ।

আর প্রেস ক্লাব চত্বরে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেন। সেখান থেকে এক আন্দোলনকারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এসময় চেরাগী পাহাড় মোড়ে কিছু মেয়ে আন্দোলনকারী জড়ো হতে থাকেন। প্রেস ক্লাব থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি মিছিল এসে জড়ো হওয়া আন্দোলনাকারীদের সরে যেতে বিতণ্ডা শুরু করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আশপাশে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে যান। তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় চেরাগী পাহাড় এলাকায় বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা এক যুবককে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা চ্যালেঞ্জ করলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।

ওই যুবককে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে অন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীরা তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তারা পুলিশের ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে মহিলা পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেন।

এর এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের দিকে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। সেসময় পুলিশ ধাওয়া করে কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে এবং কয়েকজনকে আটক করে।

এসময় কোতোয়ালী থানার এসআই মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও আন্দোলনকারী আহত হন।

চেরাগী পাহাড় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর আন্দরকিল্লা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে দেখা গেছে কিছু যুবককে। পুলিশ এখানেও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদেরকে হটিয়ে দেয়।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্ত্তী বলেন, “কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, এসআই মোশারফ হোসের আঘাত গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন