১৪ই মার্চ, ২০২৫

এস আলম গ্রপের মাসুদের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ, ব্যাংক পাড়ায় অস্থিরতা

এস আলম গ্রুপের মালিক এবং ছেলের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ

এস আলম গ্রুপের মালিক এবং ছেলের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ

শেয়ার করুন

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরদিন থেকেই ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা শুরু হয়। ২০১৭ সালের পর ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া ১৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিকাংশই চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা। মূলত, তাদের বিপক্ষে একজোট পুরোনা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেলে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ২০১৭ সালে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।

আজ রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে আগে থেকে বিক্ষোভ করা পুরনো কর্মকর্তা কর্মচারীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পটিয়ার কর্মকর্তা কর্মচারীরা গুলিবর্ষণ শুরু করলে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন বলে দাবি করা হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ, তার ছেলে আহসানুল আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ উদ্দিনসহ ৯ কর্মকর্তার ফাঁসি চেয়ে ইসলামী ব্যাংকের একদল কর্মকর্তা বিক্ষোভ করছেন প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায়।

এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের এভিপি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এস আলমের নিয়োগপ্রাপ্ত ডিএমডি মিফতাহ পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে। এতে আমাদের ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এভিপি আরও জানান, পটিয়া এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিকল্পিতভাবে সঙ্গে করে অস্ত্র এনেছিলেন। তারা এ সময় গুলি ছুঁড়তে থাকেন। এতে ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহসহ পাঁচ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। পরে সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পটিয়া এলাকার কর্মীরা প্রধান কার্যালয় থেকে অন্যত্র সরে যান।

এদিকে ইসলামী ব্যাংকে গোলাগুলির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকে গোলাগুলি সম্পর্কে জেনেছি। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংকে প্রায় ১৪ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার। মালিকানা পরিবর্তনের পর গত সাত বছরে ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বের করে বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবে অস্বাভাবিক ঘাটতি তৈরি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা ধার নিয়ে ব্যাংকটি কার্যক্রম চালাচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন