চট্টগ্রামে বোতলের ওপর থাকা প্রকৃত মূল্য মুছে দিয়ে বাড়তি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের অভিযান চালিয়ে এ কারসাজির প্রমাণ পান তারা।
এ সময় বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বিক্রেতারা কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বলে জানান কর্মকর্তারা।

অভিযানে বোতলের সয়াবিন তেল বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে একটি মুদি দোকান ও মূল্যতালিকা না রাখার অভিযোগে চারটি মাংসের দোকানসহ মোট ছয় প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে একটি বিষয় শোনা যাচ্ছে যে, বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এখানে এসে সব প্রতিষ্ঠানে দেখেছি তেল পর্যাপ্ত আছে।
‘আমরা একটি খুচরা দোকানে গিয়েও সাড়ে ৬০০ লিটার তেল পেয়েছি। এটা থেকে স্পষ্ট যে, বাজারে প্রচুর পরিমাণে তেল সরবরাহ হচ্ছে। বিক্রেতাদের দায়িত্ব হচ্ছে কোনো প্রকার কারচুপি না করে এ তেল বিক্রি করা। কোনো প্রকার কারচুপি করার চেষ্টা করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
তেল নেই, নাকি কারসাজি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ফয়েজ উল্লাহ বলেন, তেল আছে। একটি খুচরা দোকানে ৬৫০ লিটার তেল আছে। এখানে বোঝা যাচ্ছে, কোনো ক্রেতা যদি তেল না পায় তাহলে এটা কারসাজি। একজন ভোক্তা বাজার করতে ডিলারের কাছে যাবে না। যাবে খুচরা বিক্রেতার কাছে। কারচুপি তো খুচরা বিক্রেতায় করছেন। সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বারবার ছোট দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠান ও তেল সরবরাহকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা যেভাবে মূল্য নির্ধারণ করে এবং শর্ত বেঁধে দেয় সেভাবে সাধারণ ক্রেতাদের পণ্যগুলো তাদের বিক্রি করতে হয়।

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাই তিনি বলেন, যদি এমন করে থাকে তাহলে আমরা বিক্রেতাদের বলব, আপনারা আমাদের জানান। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। একটু আগেও একজন এ অভিযোগ করেছে। আমরা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা চেয়েছি। তারা দিতে পারেনি। এটা তারা কেন দিতে পারেনি বা কেন দেয়নি আমি জানি না।