চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং কাস্টম অকশন শেডে বছরের পর বছর পড়ে থাকা গাড়ি ও বিভিন্ন মালামাল দেখে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম শাখাওয়াত হোসেন। সময় ক্ষেপণ না করে ২০ বছর ধরে পড়ে থাকা গাড়ি ও মালামাল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। উপদেষ্টার নির্দেশের ৩০ মিনিটের মধ্যেই কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ যেন ২০ বছরের জটিলতা অ ৩০ মিনিটেই সমাধান।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা শাখাওয়াত হোসেন কড়া নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পোর্টের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে বছরের পর বছরেও উন্নতি হবে না। আমি বন্দর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ২০ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা ৩০০ গাড়ি। বিশাল আকৃতির ক্রেন লাগিয়ে ঘনজঙ্গলে আড়াল হয়ে যাওয়া গাড়িগুলোকে তুলে এনে রাখা হয় পাশের একটি ইয়ার্ডে। এরপর সেগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় কাস্টমসের নিলাশ শেডে।
জানা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো শুল্ক জটিলতায় রয়েছে কয়েশ মামলা। আর এই মামলার কারণে আমদানিকারক যেমন গাড়ি ছাড় করাতে পারেনি, তেমনি আইনি জটিলতায় নিলামেও বিক্রি করা যায়নি গাড়িগুলো।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান বলেন, আমাদের গাড়িগুলোর ৮৯৫টি রিট মামলা রয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা গাড়িগুলো খালাস করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে ১৮৬টি গাড়ি আছে, সেগুলো রিট মামলা সংশ্লিষ্ট নয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেগুলো অকশনের কার্যক্রম আমরা নেব।
চট্টগ্রাম কাস্টম বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, আমার মতে রাষ্ট্রের প্রতি আগ্রহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাই। তারা যদি রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করত তাহলে তড়িত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমদানিকারকদের না দিলেও নিলামে বিক্রি করে জাতীয় রাজস্ব আহরণ করতে পারত।

এর আগে এ ধরনের ৭৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রি না হওয়ায় কেটে ফেলতে হয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে।