১২ই মার্চ, ২০২৫

উত্তর চট্টগ্রামজুড়ে চাঁদাবাজি-আধিপত্য বিস্তার, দলীয় তদন্তে প্রমাণ মিলল বাপ-বেটার বিরুদ্ধে

ছবি : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ছেলে সামির কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাউজানসহ উত্তর চট্টগ্রামজুড়ে চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারে মারামারি ও হত্যাচেষ্টার সম্পৃক্ততরা প্রমাণ পেয়েছে দলটির তদন্ত কমিটি। ফলে দলীয় কাঠকগড়ায় আসামি বাপ-বেটা দুজনই। দিতে হবে তিনদিনের মধ্যে লিখিত জবাবও।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পৃথক দুইটি কারণ দর্শানোর নোটিশে এ নির্দেশ দিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া একই অভিযোগে রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা চেয়ারম্যান এবং ফিরোজ আহমেদ মেম্বারকে ‘অভিযুক্ত’ করে পৃথক নোটিশে তাঁদেরকেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় দুষ্কর্মে সহযোগিতা, দেশি ও প্রবাসী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, চাঁদা না পেয়ে কাউকে কাউকে হুমকি প্রদর্শনসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক নানা অভিযোগ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমদ আযম খানের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে।

এর আগে একই দিনে নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, প্রবাসীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কমিটি গঠনে বাধা, সন্ত্রাসী ভাড়া করে সীতাকুণ্ড রাউজানসহ অন্যান্য নির্বাচনী আসনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ এনে তিন দিনের ভেতরে কেন গিয়াস কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে বলা হয়েছে তাকে।

জানা গেছে, দলের দুঃসময়ে বিদেশে ছিলেন গিয়াস কাদের চৌধুরী। সুসময় হঠাৎ দেশে ফিরে উত্তর চট্টগ্রাম জুড়ে নিজের আধিপত্য বাড়াতে উঠে পড়ে লাগেন তিনি। এ সময় দলের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের সঙ্গে তার অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়, গোলাগুলিও হয়। বিশেষ করে গোলাম আকবর খোন্দকার অনুসারী দুই ছাত্রদল নেতাকে দিনদুপুরে তুলে নিয়ে হত্যাচেষ্টাসহ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে গিয়াসের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসব কাণ্ড চোখ এড়ায়নি দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। দলের হাইকমান্ডের নেতৃত্বে এসব তদন্ত চলছিল। প্রমাণ হাতে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘অনড়’ দলের শীর্ষ নেতা।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন