অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর। এই দুইদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইউনূস সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংলাপ হবে।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশটির অর্থনীতিতে সহায়তা করতে চায়।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফিনান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে সংলাপের বিষয়টি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন প্রতিনিধিদলে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা করতে পারবে এবং অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন ‘আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে,’ কারণ বাংলাদেশ ‘আর্থিক খাতের সংস্কার বাড়িয়ে, আর্থিক স্থিতিশীলতা উন্নত করে এবং দুর্নীতি কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চায়। ’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপটি রাজস্ব ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক ব্যবস্থার কার্যক্রম বিস্তৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
৮৪ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের অগ্রদূত এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন তিনি। অন্য ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউনূসও আলোচনায় অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।







