১৪ই মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম চেম্বারের ইতিহাসে এবারই প্রথম—লতিফপুত্রসহ পুরো পর্ষদের পদত্যাগ

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

শুরুটা করেছিলেন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। তিনি বেশ কিছু অভিযোগ তুলে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন গত বুধবার (২৮ আগস্ট)। এরপর একে একে চেম্বার ছাড়লেন আরও ১০ পরিচালক। এতে অনেকটা ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছিলেন সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। আজ বাকি ৯ পরিচালকও পদত্যাগ করেন। এতে পুরোপুরি ‘একা’ হয়ে গেলেন দেখে নিজের গদিটিও ছেড়ে দিলেন তিনি।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে তার পদত্যাগপত্র। এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠনে পুরো পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগের ঘটনা এটিই প্রথম। ফলে চেম্বার পরিচালনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চেম্বারের পরিচালনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চেম্বার সচিব প্রকৌশলী ফারুক তিনি বলেন, এটা আসলে কখনো হয়নি। চেম্বারের ইতিহাসে ফুল বোর্ড পদত্যাগের ঘটনা এটাই প্রথম। তাই আইন অনুযায়ী হয়তো তারা (মন্ত্রণালয়) হয়তো প্রশাসক নিয়োগ করবেন। এটা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিও বিভাগ পদত্যাগ পত্র রিসিভ করার পর তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এখন যেহেতু কোনো বোর্ড নাই, সেহেতু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিটাগং চেম্বারের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত, ওমর হাজ্জাজ সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের তৃতীয় ছেলে। পারিবারিক বলয়ে শতবর্ষী এ সংগঠনকে দীর্ঘদিন ধরে ‘কব্জা’ করে রেখেছিলেন এম এ লতিফ। অভিযোগ আছে, সংগঠনটির সবকিছুর নীতিনির্ধারক ছিলেন তিনি। কে কোন পদ পাবে সেটাও ঠিক করতেন তিনি। তার এ বলয়ে ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধেও। তার মেয়ে রাইসা মাহবুবও ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি পদে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন