সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে ২ জামায়াত নেতা নিহতের ঘটনায় ঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে থানায় মামলাটি করেন নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার।
আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ হারুন (৫০), মো. মমতাজ (৪৫), কামরুল ইসলাম (৫৩), আজিজুল হক (৫৫), নজরুল ইসলাম মানিক (৫২), মাহমুদুল হক (৫৫), আবু সামা (২৪), মো. সাজ্জাদ (২৫), মো. মিজান ওরফে পিচ্চি মিজান (৩১), মো. কফিল (৩০), সোহেল আহমদ (৩৮), মো. বেলাল (৩০), মো. হেলাল (৩৪), মো. হামিদ (৪৫), মো. ইছহাক (২৬), মো. মোজাফ্ফর মেম্বার (৪২), ওরফে জুইনা (৩৫), মো. কমরু (৪৫), মো. সিফাত (২০), মো. সালাম (৫০), মো. আলম (৫০), মিজানুর রহমান মারুফ (৪১), রমজান আলী (৬০), হোসাইন কবীর (৫৫), মো. ইউনুছ (৫০), মো. নেজাম (৪), মো. জসিম (৪৮), মো. ফারুক ওরফে কালা ফারুক (৪৮), মো. মোরশেদ (৪০), মো. শহিদুল্লাহ (৩২), সালা উদ্দিন (২০), মো. খোকন (৩৫), মো. এমরান (২৮), মো. খলিল (৪৫), সৌরভ হোসেন মিন্টু (৪৫), মো. মনি (৪৬), মুখলেচুর রহমান জাকের (৫৫), মো. মোর্শেদ (৪৮), মো. ওসমান (৫৫), আবু তাহের (৩৬), শাহজাহান প্রকাশ মীম (৫০), মো. কায়ছার (৩৮), মো. নাছিম (৪০), মো. ফয়সাল (২৪), নজরুল ইসলাম (৫২), মো. জহির (৫০) ও মো. জাকির হোসেন ওরফে কালা জাকির (৫০)।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, দুই জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন সামাজিক বিরোধ মীমাংসা করাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে এলাকায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন আবু ছালেক। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কে বা কারা জনৈক আব্দুল নুরের মালিকানাধীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে আব্দুল নুর আবু ছালেক ও তার বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে অবহিত করলে তারা অটোরিকশা পোড়ানোর গত ২২ ফেব্রুয়ারি এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় একটি সালিশ বৈঠক করেন। একই বিষয়ে অভিযুক্তদের কয়েকজন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে সিএনজি পোড়ানোর ঘটনায় শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের নিকট হতে ক্ষতিপূরণের টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে ছনখোলা এলাকায় যেতে বলে।
ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ছালেক ও নেজামহ আরও নয়জন সিএনজিযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন তারা ঘটনাস্থলের পাশে থাকা হারুনের চায়ের দোকানে বসে ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। একপর্যায়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে। তারা দুই ভুক্তভোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় পিস্তল দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি করলে স্থানীয় ৫ জন আহত হয়। পরবর্তীতে আসামিরা পিস্তলটি রাস্তার ওপর নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় দুই জামায়াতকর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক পিটুনিতে নিহত হয়।
