১৪ই মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে পদপ্রত্যাশী যুবদল নেতাকে ফাঁসাতে ‘সাইনবোর্ড কাণ্ড’ , ৩ আ.লীগ নেতা জড়িত থাকার অভিযোগ!

শেয়ার করুন

আসন্ন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহেদ আকবর। তাকে ফাঁসাতে কাট্টলীর লতিফপুর এলাকায় অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড টাঙানাের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘সহ-সভাপতি’ পদ উল্লেখ করে নাম ও দাগ নম্বরসহ একটি সাইনবোর্ড ছড়িয়ে পড়ে। আর এ কাণ্ড ঘটিয়েছে পাহাড়তলী থানার আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ চারজন বলে দাবি করেছেন শাহেদ আকবর।

গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আকবর শাহ থানায় এই ঘটনায় আইনগত সহায়তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

এ সময় তিনি জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, লতিফপুর বি.এস ৯১৫ দাগ জায়গায় আমার নাম ও দলীয় পদ লিখে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন হয়। পরে জানতে পারি মাহাবুবুল আলম, সাইফুল ইসলাম, মো. নাছির আহম্মদ ও রনি সাইনবোর্ড লাগিয়ে আবার নিজেরা খুলে নিয়ে যান। অথচ ওই সম্পত্তি তাদের নয়।

জিডিতে আরও উল্লেখ করেন, আমার নামে বিভিন্ন কুৎসা, অপপ্রচার করে বিভিন্ন পত্রিকায় দিয়ে আমার ব্যক্তিগত ও দলের ইমেজ নষ্ট করার জন্য একটি মহল চেষ্টা করেছে। সাইনবোর্ডটি আমি লাগাইনি এবং আমি অবগত নই। এই ঘটনা সংক্রান্তে আমি আইনগত সহায়তা চাই।

এ ঘটনার সঙ্গে পাহাড়তলী থানা আ.লীগের তিন নেতা জড়িত দাবি করে এই যুবদল নেতা বলেন, গত শুক্রবার পাহাড়তলী আওয়ামী লীগের তিন নেতার নাম উল্লেখ করে উত্তর কাট্টলী ঈশান মহাজন রোডে উত্তর কাট্টলী ও লতিফপুর মৌজায় নিকুঞ্জ আবাসিকে জোর করে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। এমন একটি পোস্ট ফেসবুকে দিয়েছিলাম। আর এরপরই আমার নাম দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জায়গার মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। শুধু আমার নাম দিলে একটা কথা; সেখানে আমার দলের নামসহ উল্লেখ করে দিয়েছে। সামনে যুবদলের কমিটি আসবে। আমিও কমিটিতে পদ প্রত্যাশী। অপরিচিত নম্বর থেকে আমার নামে এমন প্রতারণা ছড়িয়ে কেন্দ্রে এসব পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহাবুবুর রহমান পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ওই জায়গার মালিক দাবি করে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের কাছে ছবি-ভিডিও পাঠানো হয়েছে। যদিও ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে নিজেকে ডবলমুরিংয়ের ঝর্ণাপাড়া ঈদগাহ কাঁচা রাস্তা এলাকায় হাজী মাহবুব আলম বলে পরিচয় দেন।

এ সময় ওই ব্যক্তি দাবি করেন, শাহেদ আকবর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে জোরপূর্বক দলের নাম ব্যবহার করে জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছেন। পরে সেই ছবি-ভিডিও সাংবাদিক এবং বিএনপি নেতাদের পাঠালে সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে যান।

তবে এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমান নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন গণমাধ্যম কর্মীরা।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সাইনবোর্ড লাগানোর বিষয়ে একজন জিডি করেছেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন