শুরু হলো নতুন বছর ২০২৫-এর যাত্রা। নতুন বছরে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনুক- এমন প্রত্যাশা সবার। অন্যদিকে, কালের গহ্বরে হারিয়ে গেল ২০২৪ সাল, এই বছরটি জন্ম দিয়েছে নানা ঘটনার। রক্তাক্ত এক অধ্যায় পার করে অবসান মিলেছে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার। আর এসব ঘটনা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসে।
যে রায়ের পর নতুন মোড় নিলো দেশ

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির সব কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। কিন্তু, তিন বছর পর ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব, আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র জারি করতে নির্দেশ দেন। আর এই রায়ের পরই নতুন মোড় নেয় বাংলাদেশ।
এরপর জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার চেয়ে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। প্রথম কয়েক দিন মিছিল, মানববন্ধনের মতো সাধারণ কর্মসূচি থাকলেও পরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। আন্দোলনকারীরা শুরুতে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করলেও পরে তাদের দাবি এক দফায় এসে ঠেকে।
আন্দোলন চলতে চলতে প্রথম চাঙ্গা হয় আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলার পর। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগ কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা বাংলার ছাত্র সমাজ। ১৬ জুলাই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশ গুলি চালায় এবং ছাত্রলীগ হামলা করে। রংপুরে প্রাণ হারান রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ছয়জন। পরদিনও বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ। যোগ দেয় যুবলীগ, কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সরকার সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়। আবু সাঈদকে খুনের পরই আন্দোলন সরকার পতনের ১ দফা শুরু হয়।
১৭ জুলাই সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা দেশজুড়ে সংঘাতের বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দেন ও সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন বলরেও আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের এ কর্মসূচিতে প্রায় অচল হয়ে পড়ে সারা দেশ। বিভিন্ন স্থানে নিহত হন ৪১ জন। ১৮ জুলাই সারা দেশেই ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকে পুরো দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। সেনাবাহিনী মাঠে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কারফিউর মধ্যেই আদালত বসে। ২১ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন। ঠিক করে দেন কোটা ব্যবস্থার নতুন বিন্যাস। আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশ পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। সরকার অবিলম্বে গেজেট জারি করে এ নির্দেশনা কার্যকর করবে।
সেই গেজেট জারিও হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এটি প্রত্যাখ্যান করে। সরকারবাহিনী দ্বারা সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চরমে পৌঁছে যায়। সাধারণ জনতাও অকাতরে জাতির প্রয়োজনে এক হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রূপ নেয় গণ অভ্যুত্থানে। গত ৩-৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও শহীদ মিনার থেকে সরকার পতনের ডাক ঘরে ঘরে স্ফুলিঙ্গ ছড়ায়। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ অবিচার-হত্যার প্রতিবাদে নামেন রাস্তায়। তারপরই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান ভারতে। পরে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ৮ আগস্ট সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নিয়ে অন্তর্বতী সরকার শপথ নেয়। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মসনদ থেকে কাঠগড়ায়
দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে ১৬ বছর দেশ চালানো আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা ছিলেন ফুরফুরে। কিন্তু ছাত্রজনতার ব্যাপক আন্দোলনে সরকার পতনের পর পাল্টে যায় দৃশ্য। শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীসভার অনেক প্রভাবশালী বিদেশে পালিয়ে গেলেও বেশ কয়েকজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি গ্রেফতারও হয়। যার মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজসহ বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকার নিম্ন আদালতে আসেন। এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার মুহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়াসহ, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ বেশ কয়েকজন সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক আমলা, সাংবাদিক, সাবেক বিচারপতি গ্রেফতার হন। তাদেরকে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার আদালত থেকে সাবের হোসেন চৌধুরী শুধু জামিন পান। বাকিরা এখনও কারাগারে। প্রায় প্রতিদিনই তাদের কোনো না কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো বা রিমান্ড শুনানির জন্য হাজির করা হয় আদালতে।
অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে ডাকাত আতঙ্ক, গুজব
অভ্যুত্থানের পরপরই সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসন ভেঙে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ডাকাত আতঙ্ক। বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনাও ঘটে।
মূলত, অভ্যুত্থানের পরপর দেশের থানাগুলোয় পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। থানায় তালা দিয়ে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যায়। এ সুযোগে দেশে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায়। দুর্বৃত্তরা যে যার মতো বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানগুলোয় হামলা চালায়, লুটপাট-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
তবে, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর ও গ্রামে ডাকাতদের রূখতে তরুণ-আবাল-বৃদ্ধকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। ফলে, কিছুদিনের মধ্যে প্রশাসন কিছু চাঙ্গাও হয়ে যায় এবং ডাকাত আতঙ্কও কমে যায়।
সংসদ নির্বাচন, সাংবিধানিক সংকট আর সংস্কারের বছর গেল ইসির
এক তরফা সংসদ নির্বাচন করে ভোটের বৈতরণী পার হয়ে গেলেও অভ্যুত্থানে ঢেউ এসে লাগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। ফলে পদত্যাগ করে আউয়াল কমিশন বিদায় নিলে সৃষ্টি হয় সাংবিধানিক সংকট। তবে অন্তর্র্বতী সরকারের অধীন সংস্কার উদ্যোগের মধ্যেই নিয়োগ পায় নাসির কমিশন, যারা এখন নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে ভাবছে।
দিল্লির সঙ্গে ‘দূরত্ব’, ইসলামাবাদের সঙ্গে ‘সখ্য’
গত ৫ আগস্টের আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে তুলে ধরত ভারত। কিন্তু গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে এবং দৃশ্যমান হচ্ছে সখ্যতা। এছাড়া, অন্তর্র্বতী সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘ধীর চলো’ নীতিতে সামনে এগোচ্ছে। সেজন্য বেইজিং বাংলাদেশে রাজনৈতিক সরকার গঠনের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা বিএনপি-জামায়েতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে যাচ্ছেন।
এদিকে, দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হলেও ইসলামাবাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাড়ছে। অন্তর্র্বতী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. ইউনূস বিদেশের মাটিতে ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন। সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে প্রথম বৈঠকে মিলিত হন ইউনূস-শেহবাজ। তিন মাসের মাথায় ফের ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে (১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠকে বসেন তারা। এদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি জাহাজ বাণিজ্যেও সখ্যতার বিষয়টি আরও পরিষ্কার।
নবীন থেকে প্রবীণ তারকাদের হারানোর বছর
ঢাকাই শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির জন্য নানা কারণেই ঘটনাবহুল ছিল ২০২৪ সাল। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে জীবনধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে অনেক গুণীজনসহ তারকাদের। এদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে, কেউ স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আবার কেউ হঠাৎ করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। মারা গেছেন অর্ধশতাধিক শিল্পী।
বছরটির শুরুতে গীতিকার-সাংবাদিক জাহিদুল হক মারা যান। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ষাটের দশকের কবি, গীতিকার ও সাংবাদিক জাহিদুল হকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর কণ্ঠে, শেখ সাদী খানের সুরে তার লেখা ‘আমার এ দুটি চোখ’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয় শ্রোতামহলে।
আর সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে তিনটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘উজান ভাটি’ খ্যাত দেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা সি বি জামান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘ঝড়ের পাখি’, ‘উজান ভাটি’, ‘পুরস্কার’, ‘কুসুম কলি’সহ কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। যা প্রশংসিত। চলচ্চিত্র পরিচালনা ছাড়া অভিনয়ও করেছেন সি বি জামান।