২৩শে মার্চ, ২০২৫

‌শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইন নয়, সব কালো আইন বাতিল হবে : আসিফ নজরুল

অধ্যাপক আসিফ নজরুল

শেয়ার করুন

শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইন নয়, পর্যায়ক্রমে সব কালো আইন বাতিল করা হবে। আমরা সাইবার আইনটি নিয়ে আরও মতামত নেব। প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা দিতে নতুন আইন করা হবে। বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করবে এটি।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর সংশোধন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বক্তাদের আলোচনার প্রেক্ষিতে সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া ‘স্পিচ অফেন্স’ (মুক্তমত প্রকাশ) সম্পর্কিত মামলাগুলো সরকার দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তিনিও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি পাবেন।

মতবিনিময় সভায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বতনমূলক আইন হিসেবে পরিচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন নয়, পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার অংশীজনসহ আইনজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সাইবার নিরাপত্তার জন্য আইন করা হলেও অতীতে এটি ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে। আইনটি বাতিল করা উচিত। প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সংবিধান অনুযায়ী ব্যক্তির সাইবার সুরক্ষা এবং ধর্ম ও নারীর অধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আইন করা যেতে পারে।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, বিতর্কের মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গত সরকার বাতিল করলেও সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আগের প্রায় সব কালাকানুনই বহাল রাখা হয়েছে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই আইনের অপপ্রয়োগ হয়ছে এবং এখনও এর সুযোগ রয়েছে। বক্তারা জানান, ২০০৬ সালে প্রথম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন করা হয়। বিতর্কের মুখে ২০১৮ সালে এটিই হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই আইনের আওতায় মামলা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮১৮টি।

এসব বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, সব মামলা চাইলেই বাতিল করা যায় না। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে- বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়ের হওয়া কারও মামলা বাতিল হচ্ছে, আবার কারও মামলা কেন বাতিল করা হচ্ছে না। কিন্তু এখানে সরকারের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটিও জানা দরকার। কারণ সব মামলার একই স্টেজে নেই। হয়ত কোনটির সাজা হয়েছে, আবার হয়ত কোনটির চার্জশিট হয়েছে। আদালতে বিচারাধীন আছে। তাই এসব বিষয়গুলো বিবেচনা করেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন