১৫ই মার্চ, ২০২৫

আমরা কী মগের মুল্লুকে পড়ে গেলাম? প্রশ্ন নগদ সাবেক এমডির

নগদের সাবেক এমডি তানভীর এ মিশুক ও সেরা করদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সার্টিফিকেট

শেয়ার করুন

২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর পর ২০২০-২১ অর্থ বছরে দেশ সেনা তিন ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসে নগদ। এর পরের অর্থ বছরেও সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ভ্যাটের তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি। এর মধ্যে কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এদিকে, এই বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন নগদের সাবেক এমডি তানভীর এ মিশুক। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আমরা কী মগের মুল্লুকে পড়ে গেলাম?

এরপর তিনি লেখেন, প্রশ্নটা এ কারণে যে কোনো নিয়ম নীতি তো আর কাজ করছে না। এক দিকে সেরার স্বীকৃতি মিলছে তো পরদিন যারা এই স্বীকৃতিটা দিল তারাই আবার অভিযোগের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

নগদ প্রতিষ্ঠার এক বছরের মাথায় সেরা ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা অর্জন প্রসঙ্গ টেনে তানভীর এ মিশুক বলেন, আসল ঘটনাটা বলি। নগদ সেবা শুরু করার এক বছরের মাথায় ভ্যাট দাতাদের তালিকায় সেরা অবস্থানে চলে আসে। ২০১৯ সালে যাত্রা করার পর পরের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থ বছরেই দেশ সেরা তিন ভ্যাটদাতার তালিকায় উঠে আসে নগদের নাম। সে সময় তো বহু বাঘা বাঘা প্রতিষ্ঠান-ব্যাংক বাজারে সেবা বিকোচ্ছিল। কিন্তু তারা কোনো সেরার তালিকায় আসতে পারে না অথচ একটা নবীন কোম্পানি এসেই সেরার তালিকায় চলে আসে? এ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিস্তর কাজ করার ছিল এবং এখনো আছে। রাজস্ব বোর্ডের প্রশ্নকে পাশে রেখে পরের বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থ বছরেও আবার সেরার তালিকায় জ্জ্বল্যমান নগদ।

২০২২-২৩ অর্থ বছরেও নগদ সেরা ভ্যাটতাদা প্রতিষ্ঠানের সম্মননা অর্জন করবে বলে আশা ব্যক্ত করে মিশুক লেখেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ভ্যাটের তালিকা এখনো প্রকাশিত হয়নি। হয়তো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তালিকা হবে। আমি বিশ্বাস করি এবারও নগদ থাকবে সেরার এই তালিকায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রশ্ন ছুঁড়ে তানভীর এ মিশুক লেখেন, এটা আমার জন্য যতো না বড় গর্বের, তারচেয়েও বড় বিস্ময়ের যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কেন অন্য নামী-দামী কোম্পানির খোঁজ খবর করে না? তারা এতো হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে কিন্তু তারা কেনো ভ্যাট দাতাদের তালিকায় আসে না? এই প্রশ্ন নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করবে কী– উল্টো কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে নগদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল।

মূলত নগদের শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর আটকাতেই এমন ষড়যন্ত্র, অভিযোগ তুলে তিনি লেখেন, অন্য আর ছয়টা কোম্পানির সঙ্গে সঙ্গে নগদের নামও তুলে দিল যাতে শেয়ার হস্তান্তর করা না যায়। এই ঘোলাটে অবস্থায় শেয়ার হাতবদলের কোনো প্রয়োজন বা পরিকল্পনা আমাদের নেই, এমন পরিকল্পনা ছিলও না। কিন্তু যে অভিযোগে কাজাটা তারা করলেন সেটি তো ভালো কাজের জন্যে সেরার পুরস্কার কেড়ে নিয়ে উল্টো আরও শাস্তির তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার মতো।

নগদকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রীমহল এসব করছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, বিদ্যমান আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে– বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক বসালো; বিকাশের উচ্ছিষ্ট খাওয়া লোকদের দিয়ে নগদের বোর্ড পুনগঠন করল– এ নিয়ে তারা আদালতের প্রশ্নের মুখেও পড়ল। কিন্তু এই ধাক্কা যেত না যেতেই আরেক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবার আরেকটা নিয়ে মেতে উঠল। কুচক্রীরা কি আসলেই এতোটা শক্তিশালী? মনোপলি করে মুনাফাখোরী চক্রাটা কি আসলেই ধরা ছোঁয়ার এতোটা বাইরে?

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন