বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গোলাগুলি ও হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এক ভুক্তভোগীর মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলদের সঙ্গে এবার আসামি করা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকেও। এছাড়া, আরও ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন মোহাম্মদ ফরহাদ নামে এক যুবক। মোহাম্মদ ফরহাদ সন্দ্বীপ উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৌলভীবাজার এলাকার মো. হেলালের ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন—চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ৪ আগস্ট নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অবৈধ অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থলে ত্রাস চালায়। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে আসামিরা ওইদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি, হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রাণ বাঁচানোর জন্য তিনি বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের দিকে দৌঁড়ালে আসামিদের অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আরফান উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
