অভিযোগ আছে, বাংলাদেশের শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে সালমান এফ রহমান। এর বাইরে প্রতারণা করে শেয়ার হোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।
এবার বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নামছে তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে। শুধু সালমান এফ রহমান নয়, তারা অনুসন্ধান করে খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অবৈধ সম্পদ।
এদিকে জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

মো. শাহাব উদ্দিন মন্ত্রী থাকাকালে নিজ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বদলি বাণিজ্য, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১ হাজার ৫০২ কোটি টাকার ‘সুফল প্রকল্পে’ অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন।
অন্যদিকে নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
এছাড়া নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সাবেক সংসদ সদস্য, ভোলা-৩ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নানা অভিযোগের কারণে এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।